জেফ কুন্স-এর “বেলুন ডগ” ভাস্কর্য আর্ট ফেয়ারে দুর্ঘটনাক্রমে ভেঙে গেল
ঘটনা
মিয়ামির একটি কোলাহলপূর্ণ আর্ট ফেয়ারে, এক মুহূর্তের বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় যখন জেফ কুন্স-এর বিখ্যাত “বেলুন ডগ” ভাস্কর্যগুলির মধ্যে একটি অপ্রত্যাশিতভাবে ভেঙে যায়। উজ্জ্বল নীল রঙের সিরামিকের কুকুরটি, যার মূল্য প্রায় ৪২,০০০ ডলার, একজন আর্ট সংগ্রাহক দুর্ঘটনাক্রমে এর বেদীর সাথে ধাক্কা খাওয়ার পরে ১০০টির বেশি টুকরো হয়ে মেঝেতে ভেঙে পড়ে।
প্রতিক্রিয়া
ভাস্কর্যটির ধ্বংস শিল্প জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান, যেখানে দর্শক ভাবছিলেন এটা কি কোনো স্টান্ট নাকি পারফরম্যান্স আর্টের অংশ। তবে, দ্রুতই এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে দুর্ঘটনাটি সত্যিই ঘটেছিল।
শিল্পীর প্রতিক্রিয়া
বেলুন আকৃতির পশু ভাস্কর্যের জন্য পরিচিত জেফ কুন্স, তাঁর সৃষ্টির ক্ষতি হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে, তিনি স্বীকার করেছেন যে এই ধরনের দুর্ঘটনা শিল্পকর্ম প্রদর্শনের ক্ষেত্রে একটি ঝুঁকি। সৌভাগ্যবশত, ভাঙা কুকুরটি ৭৯৯টি সংস্করণের মধ্যে একটি ছিল, যার মধ্যে বাকি ৭৯৮টি অক্ষত ছিল।
ভাঙা ভাস্কর্যের মূল্য
ভাঙা অবস্থা সত্ত্বেও, ভাঙা “বেলুন ডগ” একটি নতুন তাৎপর্য অর্জন করেছে। আর্ট সংগ্রাহক স্টিফেন গ্যামসন এবং অন্যরা এর ধ্বংসের পেছনের গল্পে মূল্য দেখে এই টুকরোগুলি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বীমা এবং দায়বদ্ধতা
ভাস্কর্যটির বীমা করা ছিল, যা আর্থিক ক্ষতি কমিয়ে দেবে। যে আর্ট সংগ্রাহক দুর্ঘটনাক্রমে এই দুর্ঘটনার কারণ হয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হবে না।
জেফ কুন্স-এর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাজ
জেফ কুন্স বিভিন্ন রঙ এবং আকারে আরও অনেক বেলুন আকৃতির পশু ভাস্কর্য তৈরি করেছেন। তাঁর কমলা রঙের “বেলুন ডগ” ভাস্কর্যটি, যা প্রায় দশ ফুট লম্বা, ২০১৩ সালে প্রায় ৬ কোটি ডলারে বিক্রি হয়েছিল। ২০১৯ সালে, তাঁর “খরগোশ” ভাস্কর্যটি নিলামে ৯ কোটি ১০ লক্ষ ডলারে বিক্রি হয়েছিল, যা একজন জীবিত শিল্পীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল কাজ হয়ে ওঠে।
আর্ট প্রদর্শনীতে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ
ঘটনাটি আর্ট প্রদর্শনীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে। গ্যালারি এবং জাদুঘরগুলির উচিত মূল্যবান শিল্পকর্মের দুর্ঘটনাক্রমে ক্ষতি রোধ করার জন্য দর্শকদের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করা।
স্থায়ী ঐতিহ্য
যদিও ভাঙা “বেলুন ডগ” ভাস্কর্যটি শিল্পের ভঙ্গুরতার প্রমাণ, এটি তার স্থায়ী ঐতিহ্যকেও তুলে ধরে। ভাঙা টুকরোগুলি অপ্রত্যাশিত এবং শিল্পের পরিবর্তনশীল শক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। এমনকি ভাঙা অবস্থায়ও, ভাস্কর্যটি মানুষকে মুগ্ধ করে এবং অনুপ্রাণিত করে চলেছে।